মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন চট্টগ্রাম
নিহত ভিকটিম মোহাম্মদ হোসেন একজন প্রবাসী এবং কক্সবাজার জেলার সদর মডেল থানাধীন দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া টেকনাফ্যা পাহাড় গ্রামের বাসিন্দা। ভিকটিম ১৯৯৯ সালে প্রবাস থেকে দেশে ফিরে নিজ এলকায় বসবাস শুরু করেন,গত ১৫ জুন ২০০০ইং তারিখে ভিকটিমের নিজ বাড়িতে তারই মেয়ে জামাই মনজুর হোসেনের নেতৃত্বে একটি ডাকাত দল ডাকাতির উদ্দেশ্যে দরজা ভেঙ্গে বসত ঘরে প্রবেশ করে,এ সময় ভিকটিম মোহাম্মদ হোসেন ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী ও ডাকাত দলের প্রধান তার মেয়ের জামাইকে চিনে ফেলায় ডাকাত দলের সদস্যরা এলোপাতাড়িভাবে ভিকটিম মোহাম্মদ হোসেনের মাথায় গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে তার বাসার মূল্যবান দ্রব্যাদিসহ নগদ টাকা এবং স্বর্নালংকার লুট করে নিয়ে যায়,উক্ত ঘটনাটি তখন এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
পরবর্তীতে নিহত ভিকটিমের স্ত্রী ছবুরা খাতুন বাদী হয়ে খুনসহ ডাকাতির ঘটনা উল্লেখ করে কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন,যার নং-৪০,ধারা-৩৯৬ পেনাল কোড-১৮৬০। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে গত ২০ জুলাই ২০২৩ ইং তারিখ বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালত, কক্সবাজার পুলিশ প্রতিবেদন এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামীদের অনুপস্থিতে ০৮ জন আসামীকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
উক্ত নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলার রায় ঘোষণার পর থেকে র্যাব-৭,চট্টগ্রাম উল্লেখিত মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭,চট্টগ্রাম গোপন সূত্রের ভিত্তিতে জানতে পারে যে,উক্ত খুনসহ ডাকাতি মামলার ০১নং এজাহারনামীয় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মঞ্জুর হোসেন আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে ছদ্মনাম ব্যবহার করে ঢাকা মহানগরীর মিরপুর মডেল থানাধীন পূর্ব শেওড়াপাড়া এলাকায় আত্মগোপন করে রয়েছে,উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭,চট্টগ্রাম এবং র্যাব-২,ঢাকা এর একটি যৌথ আভিযানিক দল গত ২০ আগস্ট ২০২৩ ইং তারিখ বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ০১ নং এজাহারনামীয় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মনজুর হোসেন (৪৬),পিতা- মোহাম্মদ হাছান,সাং-রুমালিয়ারছড়া টেকনাফ্যা পাহাড়,থানা- কক্সবাজার সদর,জেলা-কক্সবাজার’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়,পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত খুনসহ ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী এবং বর্ণিত মামলার ০১ নং এজাহারনামীয় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করে,এছাড়াও আরো স্বীকার করে যে,সে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে ছদ্মনাম ব্যবহার করে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পেশায় আত্মগোপন করে ছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
#কালের বার্তা /মুনতাসীর