দশমিনা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় মৌসুমী আক্তারের হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধন কর্মসূচীতে মৌসুমি আক্তার দুলু-র বড় ভাই দশমিনা উপজেলা অধীন ৫নং বহরমপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওমীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃমনিরুজ্জামান বিপ্লব জানান তার বোন মৌসুমি আক্তার দুলুর১৫-২০ বছর আগে তার চাচাতো ভাই মোঃ ফেরদৌস রাড়ীর সাথে বিবাহ হয়।সে-ই পরিবারে তার তার তিন সন্তান রয়েছে বড় ছেলে মোঃ নাফিজ ফুয়াদ নবম শ্রেণির ছাত্র,ছোট ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ আল মিমো পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র এবং ছোট্ট মেয়ে মোসাঃ মেহেরিমা প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।মোঃমিনিরুজ্জামান বলেন তার তার বোন যদি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহাগ এর সাথে অবৈধ সম্পর্ক কিংবা বিবাহ না করে তাহলে, তার তিন সন্তান কে হত্যার হুমকি দেয় এবং এতে মৌসুমি রাজি না হওয়ার তার প্রথম স্বামী মোঃ ফেরদৌস রাড়ী এর বাসায় পাঁচ পিচ বাবা দিয়ে ধরিয়ে দেয় চেয়ারম্যান— আসাদুজ্জামান সোহাগ। এর পড়ে এক রাতে তার বোন মৌসুমি আক্তার দুলু কে লোকজন নিয়ে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।পরে মৌসুমি কে ভুয়া কাবিন করে বিবাহ করে এবং কোথায় করে তা-ও তারা জানে না তার পরিবার।তার পরিবার অভিযোগ করে তাদের ক্ষমতার কাছে তার তুচ্ছ। তারার আরও বলেন চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সোহাগ এর আপন চাচা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওমীলীগ এর সভাপতি আবদুল আজিজ এর প্রভাবে এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে ও হত্যার রিপোর্ট গায়েব করার জন্য পায়তারা চালাচ্ছে।মৌসুমির পরিবার মামলা করে তারা পুলিশ পরিবারের সন্তান হওয়ায় পটুয়াখালী এস পি অফিসে যায় আইনি সহযোগীতার জন্য যায় কিন্তু তারা জানান রিপোর্ট হতে না পেয়ে কিছু করতে পারবে না।তারা আরও জানান চেয়ারম্যান তার পরিবারের কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুক চায় তা দিতে রাজি না হওয়া তার প্রতি অমানবিক নির্যাতন চালায়।পাঁচ তারিখ আসামীগন বাসায় বসে বাবা সেবন করলে মৌসুমি প্রতিবাদ করলে তাঁকে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষন করে এবং এরপরে তাঁকে হত্যা করে।মৌসুমির পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেন। আসামি পক্ষ তাদের কে হুমকি দিচ্ছে বলে জানন।তারা এই হত্যার বিচার চায় বলে দাবি জানান মৌসুমির পরিবার ও এলাকাবাসী।