কালের বার্তা
বৃহস্পতিবার , ২ নভেম্বর ২০২৩ | ২৬শে অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য
  3. অপরাধ
  4. অর্থনীতি
  5. আইটি বিশ্ব
  6. আন্তর্জাতিক
  7. উদ্ভাবন
  8. কবিতা
  9. খুলনা
  10. খেলাধুলা
  11. চট্টগ্রাম
  12. চাকরি
  13. জাতীয়
  14. ধর্ম
  15. নাগরিক সংবাদ

কয়রায় মন্দির ও মূর্তি ভাংচুরের ঘটনায় মামলা

প্রতিবেদক
কালের বার্তা ডেস্ক
নভেম্বর ২, ২০২৩ ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ

আতাউর রহমান তুহিন, স্টাফ রিপোর্টার

খুলনা জেলার কয়রা থানার আমাদি ইউনিয়নের চণ্ডীপুর গ্রামে জোরপূর্বক অবৈধভাবে জমি দখল করাকে কেন্দ্র করে মন্দির ও মূর্তি ভাংচুরের ঘটনায় কয়রার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত ইং ১৮/১০/২০২৩ তারিখে সাধন কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে কয়রার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩ জনকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর সি আর- ৫৩১/২০২৩। মামলার আসামীরা হলেন দীপক কুমার বিশ্বাস, সুদীপ্ত কুমার বিশ্বাস, ললিতা বিশ্বাস।

মামলার আরজি ও বাদী সুত্রে জানা যায়, আসামীগণ বাদীর চণ্ডীপুর মৌজার বাস্তু ভিটা জোরপূর্বক দখল করার জন্য দীর্ঘদিন যাবত পায়তারা করিয়া আসিতেছে। ঘটনার জেরে গত ইং ১১/১০/২০২৩ তারিখ রোজ বুধবার ও সময় সকাল আনুঃ ৮/৮.৩০ ঘটিকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামীগণ ধারালো দা, লোহার রড, লোহার হাতুড়ি, শাবল, ও লাঠিসোটা লইয়া অনধিকার ভাবে আমার দখলীয় বাস্তু ভিটায় প্রবেশ করে বাদীর বাস্তু ভিটার অপর অবস্থিত আন্তর্জাতিক ধর্মীয় সেবামুলক প্রতিষ্ঠান শ্রী শ্রী প্রনব মঠ এর সিমানা ঘেরা বেড়া কাটিতে থাকিলে বাদীর স্ত্রী সন্ধ্যা রানি বিশ্বাস আসামিদের বাধা প্রদান করিলে আসামীগণ বাদী ও বাদীর স্ত্রীকে দা দিয়ে মাথায় কোপ সহ বাদী ও বাদীর স্ত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে লিলা ফুলা জখম করে এবং বাদীর স্ত্রীর পরনের কাপর টেনে হিঁচড়ে ছিঁড়ে ফেলে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি করে। এরপর আসামী আরও বেপরোয়া হয়ে জোরপূর্বক মঠের মন্দিরের মধ্যে প্রবেশ করিয়া মন্দির ভাঙচুর করিয়া ভিতরে অবস্থিত সরস্বতীর মূর্তি সহ আর অন্যান্য মূর্তি ভাঙচুর করিয়া নষ্ট করে ফেলে এবং বলে যে এখানে কোন মন্দির থাকবে না এবং মূর্তি ও থাকবেনা। বাদী ও বাদীর স্ত্রীর চিৎকারে সাক্ষীগণ ও স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে হাজির হলে আসামীগণ এর হাতে থাকা দা উচু করে বলে যে এই ঘটনা নিয়ে যদি কোথাও অভিযোগ বা কাউকে জানাস তাহলে পরিবার সহ জিবনে শেষ করে দিব। সাক্ষীগণ ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় স্থানীয় পল্লি চিকিৎসক এর কাছে লইয়া প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাদী ও বাদীর স্ত্রীকে বাদীর বাসগৃহে পৌঁছাইয়া দেওয়া ।

এ ব্যাপারে কয়রার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খোজ নিয়ে মামলার সত্যতা পাওয়া যায়।

সর্বশেষ - রাজনীতি