দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আলোচনার জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সহ ৪৪ টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কে চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এসব দলকে সকাল-বিকেল দুই ভাগে ভাগ করে শনিবার তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ছিল ইসির, তবে দুই ধাপের এই আলোচনায় অংশ নেয়নি বিএনপি সহ ১৮ টি রাজনৈতিক দল। শনিবার সকালে আওয়ামী লীগসহ ২২ দলের আলোচনায় অংশ নেয়ার কথা থাকলেও অনুপস্থিত ছিল ৯ টি দল। একইভাবে বিএনপিসহ সহ ২২ টি দলের অংশগ্রহণের কথা ছিল বিকেলে সেখানে বিএনপিসহ সমমনা নয়টি দল অংশ নেয়নি। দুই ধাপে ৪৪ টি দলের মধ্যে ইসির ডাকে সাড়া দেয়নি ১৮ টি রাজনৈতিক দল। এদিন সকাল সাড়ে দশটার দিকে শুরু হয় প্রথম ধাপের আলোচনা এতে অংশ নেয় তেরোটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আর অংশ না নেওয়া দলগুলো হলো এলডিপি, বিজেপি, কমিউনিস্ট পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, গণতান্ত্রিক পার্টি, মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, কল্যান পার্টির ও খেলাফত মজলিস।

অন্যদিকে এই দিন অংশ নেয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তৃণমূল বিএনপি, ইসলামী ঐক্য জোট, এনডিএফ, বাংলাদেশ কংগ্রেস, গণফোরাম বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট আওয়ামী পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি, এনডিএম, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট, বিএনএফ, গঠন এবং ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ।

বিকেলের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় অংশগ্রহণ করে ১৩ টি দলের প্রতিনিধিরা। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রতিনিধিরা।

তবে ইসির সঙ্গে আলোচনা বর্জন করেছেন বিএনপি, কৃষক শ্রমিক জনতা, লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক, দল বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স, বাংলাদেশ জাসদ, এলডিপি, বিজেপি, কমিউনিস্ট পার্ট।

যে সব দল নানা কারণে আলোচনায় বসতে পারেনি তারা চাইলে ফের বসতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন: “কম সময় নিয়ে দলগুলোকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। যদি দ্রুততার কারণে কোনো দল অংশগ্রহণ না করে তারা ইচ্ছা পোষণ করলে কমিশন আলাপ করে তাদের কথা শোনার চেষ্টা করবে কারণ কমিশনসহ সঙ্গে মত বিনিময় করতে চায় বলেও জানান সিইসি।