অনলাইন ডেস্ক: হয়তো আপনি আপনার পছন্দের মানুষকে অনেক বিশ্বাস করে পরম নির্ভরতায় বুকে মাথা রাখছেন, এদিকে দিনের পর দিন আপনার সঙ্গী গোপনে আপনাকে প্রতারিত করে চলেছেন। মনে রাখবেন যারা বিশ্বাস ভঙ্গ করে, তারা খুব কাছের মানুষই হয়। কারণ স্বাভাবিক ভাবে আমরা দূরের মানুষদের বিশ্বাস করি না। আপনার সঙ্গী, যাকে দেখে আপনার ঘুম ভাংগে, আপনার জীবনের সব দুঃখ-সুখে যিনি জড়িয়ে আছেন, তিনি খুব গোপনে আপনার বিশ্বাস ভঙ্গ করে চলেছেন। আবার সেসবের কোনো দিক বা চিহ্নও রাখছেন না!
কথায় বলে, মানুষ যখন কোনো অপরাধ করে তখন কোনো কোনো চিহ্ন বা দিক নির্দেশনা রেখে যায়। আপনার সঙ্গী অতি সাবধানতার পরেও হয়তো এমন কোনো নির্দেশনা রেখে যাচ্ছেন যা একটু খেয়াল করলেই আপনি বুঝতে পারবেন। অকারণে সন্দেহ কোনো কাজের কথা নয়। তবে সন্দেহজনক কিছু চোখ এড়িয়ে যেতে দেওয়াও বুদ্ধিমানের কাজও নয়।
যদি অনেকদিন ধরে আপনার মনে কিছু একটা সন্দেহ থাকে আপনার সঙ্গীর প্রতি তবে এই বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল করুন-
১. অবহেলাঃ
খেয়াল করুন আপনার স্বামী আপনাকে অবহেলা করছে কি না। আপনি যদি স্বামীর কাছ থেকে অবহেলার শিকার হন, তবে বুঝবেন তিনি অন্য কারো প্রতি আসক্ত, হতেও পারে সেটি পরকীয়া। পরকীয়া আশক্ত সকল পুরুষ তার সঙ্গিনীকে অবহেলা করে।
২. ফোন বা ইন্টারনেটে আসক্তঃ
আপনার সঙ্গী ফোনে কতটা সময় অতিবাহিত করছেন সেদিকে নজর রাখুন। একসঙ্গে বসে আছেন বা ঘুরতে গেলেন কিন্ত তিনি ফোন নিয়েই ব্যস্ত থাকেন, মেসেজ বা ইন্টারনেট ব্রাউজিং করেন- তাহলে তা নিশ্চিতভাবে অন্য একটি সম্পর্কেরই ইঙ্গিত।
৩. ফেসবুকঃ
পরকীয়ার একটি অন্যতম কারণ বা মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। শুধুমাত্র ফোন নয়, ফেসবুক কিংবা অন্যান্য যোগাযোগের মাধ্যমের প্রতি আসক্তির মাত্রার ওপরও খতিয়ে দেখবেন।
৪. পরিবারঃ
আপনার স্বামী যদি আপনার ও পরিবারের পেছনে কম ব্যয় অর্থাৎ সাধ্য আছে কিন্তু ইচ্ছে নেই, তাহলে এটিও একটি লক্ষণ হিসেবে ধরে নেয়া যায়। খুব নিখুঁত ভাবে আপনার সঙ্গীর প্রতিদিনকার কাজকর্ম লক্ষ্য করুন। যদি বুঝতে পারেন যে আগের চেয়ে কম সময় পাচ্ছেন, তাহলে বোঝার চেষ্টা করুন সেই বাড়তি সময়টা তিনি কীভাবে ব্যয় করছেন।
৫. অজুহাতঃ
স্বামী যদি কারণে-অকারণে অজুহাত দেখায় তবে বুঝতে হবে এটি পরকীয়ার লক্ষণ। তবে সঠিক কারন থাকলে তাকে সন্দেহ করা থেকে বিরত থাকুন। তাকে সময় দেয়ার কথা বলে দেখুন, একসঙ্গে বসে টিভি দেখার, তাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান, আত্মীয়স্বজনদের ও পারিবারিক বন্ধুদের সময় দেয়ার কথা বলুন। তিনি যদি আপনাকে অজুহাত দেখিয়ে না বলেন, তাহলে জানার চেষ্টা করুন অজুহাতটি সত্যি কিনা।
৬. নিজেকে গুটিয়ে নেয়াঃ
খেয়ার রাখুন আপনার সঙ্গী স্বামী পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে শুরু করে বিনা কারণে, তাহলে বুঝে নিতে পারেন তিনি পরকীয়ায় লিপ্ত।
৭. নতুন কোন নামঃ
আপনার স্বামীর মুখে যদি নতুন কোনো একটি নাম বারবার শুনতে পান, তবে একেও পরকীয়ার লক্ষণ গুরুত্ব দিতে পারেন। স্বামীর যে বান্ধবীর কথা আগে কখনো শোনেননি, এমন কারো কথা বারবার শুনলে তাকে জিজ্ঞেস করুন এবং তার মুখের ভাব লক্ষ্য করুন। যদি তিনি প্রশ্ন উত্তর এড়িয়ে চলেন, কিংবা তার মুখের অভিব্যক্তি বদলে যায়, তবে বিষয়টি অবশ্যই চিন্তার।
৮. অকারণে রেগে যাওয়াঃ
বিনা কারণে অ-যৌক্তিক রাগ করা, কিংবা সবসময় খিটখিট করা পরকীয়ার অন্যতম লক্ষণ। খেয়াল করে দেখুন তো, আগে যে বিষয়গুলো আপনার সঙ্গীর রাগের কারন হতো না সেসব বিষয়ে কি তিনি রেগে যাচ্ছেন? কিংবা কথায় কথায় আপনাদের দাম্পত্য জীবনকে অভিশাপ হিসেবে অভিহিত করছেন? তার এসব কথার আদৌ কোনো যুক্তি আছে কি না, এই ব্যাপারগুলো খেয়াল করুন।
৯. যৌনসম্পর্কঃ
আপনার স্বামীর যৌনসম্পর্কে যদি উদাসীনতা দেখান তাহলে আপনি এটি পরকীয়ার নিশ্চিত লক্ষণ হিসেবে ধরতে পারেন। যিনি যদি অন্যের সঙ্গে সময় কাটিয়ে আপনার প্রতি উদাসীন হয় তবে আপনার প্রতি তার যৌন চাহিদা কমে যাবে। আপনার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে সঙ্গী আগ্রহী নন, অর্থাৎ তার চাহিদাটি পূরণ হচ্ছে অন্য কারো মাধ্যমে। এ ছাড়াও অভ্যাসবশত যৌন সম্পর্ক করছেন কি না, নাকি স্রেফ আপনাকে খুশি করতে, সেটিও লক্ষ্য করুন।
১০. নিজের সৌন্দর্য সম্পর্কে অতিরিক্ত সচেতনঃ
আপনার সঙ্গী যদি হঠাৎ নিজের সৌন্দর্য সম্পর্কে অতিরিক্ত সচেতন হয়ে ওঠেন, আপনার স্বামী/স্ত্রী যদি হঠাৎ নিজের ত্বক, সাজগোজ, শারীরিক গঠন কিংবা পরিহিত পোশাক-আশাকের দিকে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে শুরু করেন, তাহলে আপনি একে পরকীয়ার একটি লক্ষণ হিসেবে ধরে নিতে পারেন
